মঙ্গলবার ইন্ডিয়া পোস্ট সাউথ পয়েন্টের প্ল্যাটিনাম জুবিলিতে বিশেষ "আমার স্ট্যাম্প " উন্মোচন।

ইন্ডিয়া পোস্ট সাউথ পয়েন্টের প্ল্যাটিনাম জুবিলিতে বিশেষ "আমার স্ট্যাম্প" উন্মোচন করেছে এবং ছাত্রদের পোস্টাল সিস্টেমের অভিজ্ঞতা নিতে সাহায্য করে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং হাই স্কুলের প্ল্যাটিনাম জুবিলী বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে, ইন্ডিয়া পোস্ট (ভারত সরকার), ফিলাটেলিক বিভাগ, কলকাতা তাদের "মাই স্ট্যাম্প" প্রোগ্রামের অধীনে একটি বিশেষ পোস্টাল স্ট্যাম্প ডিজাইন করেছে এবং এটি স্কুল প্রাঙ্গনে উন্মোচন করা হয়েছিল মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 12, 2023। সাউথ পয়েন্ট 1954 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 1লা এপ্রিল 2024-এ এর অস্তিত্বের সাত দশক পূর্ণ করবে। মিসেস সুদর্শনা সেন, ডেপুটি ডিরেক্টর পিও, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং, কলকাতা জিপিও এবং মিঃ দুলাল দাস, সহকারী। Dy. ডিরেক্টর পিও, ফিলাটেলিক ব্যুরো, কলকাতা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী এস কে দাগা, ট্রাস্টি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মিঃ কৃষ্ণ দামানি, ট্রাস্টি ও সাউথ পয়েন্ট এডুকেশন সোসাইটির সেক্রেটারি এবং স্কুলের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষক এবং ছাত্ররা। এই অনুষ্ঠানে, স্কুলটি একটি অনন্য শিক্ষামূলক ব্যায়ামও গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে এর প্রায় 12,000 শিক্ষার্থী তাদের স্কুলের নতুন উন্মোচিত স্ট্যাম্প এবং স্কুলের দ্বারা সরবরাহ করা বিশেষ স্টেশনারি ও খাম ব্যবহার করবে, বাড়িতে তাদের পিতামাতা এবং অভিভাবকদের চিঠি লিখতে এবং পোস্ট করতে। এই উদ্দেশ্যে, ইন্ডিয়া পোস্ট স্কুলে অস্থায়ী পোস্ট অফিস স্থাপন করেছে। ডাঃ (মিসেস) মধু কোহলি, সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ডিরেক্টর, সমাবেশকে স্বাগত জানানোর সময়, বাচ্চাদের একটি চিঠি লেখার এবং নিজে পোস্ট করার পাশাপাশি তাদের দেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য ইন্ডিয়া পোস্টকে ধন্যবাদ জানান। বাড়িতে ফিরে ডেলিভারি পান। এটি তাদের স্মারক স্ট্যাম্প সংরক্ষণ করার অনুমতি দেবে। চিঠিগুলো হাসি আঁকবে এবং স্কুলের স্মৃতিকে উদ্বুদ্ধ করবে, এমনকি কয়েক দশক ভবিষ্যতেও।

স্কুলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, যারা এখনও সঠিকভাবে বর্ণমালা তৈরি করতে পারেনি, তারা আঁকবে এবং বিশেষ স্টেশনারিতে আঁকবে এবং তাদের পিতামাতার কাছে পোস্ট করবে। আমরা নিশ্চিত যে অল্পবয়সী পিতামাতা পোস্টের মাধ্যমে বিশেষ স্ট্যাম্প সহ একটি খাম পেয়ে আনন্দিত হবেন, যেখানে তাদের নিজের সন্তান তাদের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ করে। তারা প্রকাশ করেছে কেন তারা স্কুলে শেখা এবং খেলা উপভোগ করে। একইভাবে, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে যারা পড়ে তারা স্কুলে কী করে, স্কুলে তাদের কী আনন্দ দেয়, সেইসাথে কেন তারা নিজেদেরকে পয়েন্টার বলে পরিচয় দিতে গর্বিত তা বর্ণনা করে। যারা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে তারা তাদের বাবা-মাকে চিঠি দেবে, তাদের স্কুলে তাদের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে জানাতে, কীভাবে এটি তাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছে, তাদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগিয়েছে এবং ভবিষ্যতের ভাল নাগরিক হিসাবে তাদের তৈরি করছে। অন্যদিকে, সিনিয়র স্কুলের ছাত্ররা, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা তাদের ভবিষ্যতকে লিখবে। কেউ কেউ কোভিডের সময় এবং কীভাবে এটি তাদের আরও স্থিতিস্থাপক করেছে সে সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা নথিভুক্ত করবে। যখন অন্যরা তাদের বর্তমান আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের স্কুল তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের পরামর্শ দিচ্ছে কিভাবে সে সম্পর্কে লিখবে। এমনকি তারা গ্রহের কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা নিয়ে তাদের ভবিষ্যত স্বয়ং প্রশ্নও করবে। স্কুল চেয়েছিল যে প্রতিটি শিক্ষার্থী অনুশীলনে অর্থপূর্ণভাবে অংশ নেবে এবং সেই সাথে এটি থেকে শিখুক। পরীক্ষার হল ব্যতীত যে সময়ে চিঠিগুলি খুব কমই লেখা হয়, এটি শিক্ষার্থীদের সাউথ পয়েন্ট কমিউনিটির সদস্য হিসাবে এই কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এটি তাদের স্মারক ডাকটিকিট সংরক্ষণের অনুমতি দেবে। তাদের বাবা-মায়ের কাছে চিঠিটি হাসি আঁকবে এবং যখনই তারা এই দিনটির দিকে ফিরে তাকাবে তখনই স্কুলের স্মৃতি জাগাবে।