নেতাজি সুভাষ মিশন ট্রাস্টে উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজো

জগদ্ধাত্রী পূজা করা হয় দেবী দুর্গারই এক রূপকে সম্মান জানাতে, যিনি জগতের পালনকর্ত্রী এবং যিনি দেব-দেবীদের অহংকার খর্ব করেছিলেন। এই পূজার প্রচলন হয়েছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময়কালে, যিনি বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। তিনি কার্তিক মাসের নবমী তিথিতে এই পুজোর আয়োজন করেন এবং এরপর থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। জগদ্ধাত্রী দুর্গারই অন্য রূপ: জগদ্ধাত্রী হলেন দেবী দুর্গারই অন্য একটি রূপ এবং জগৎ সভ্যতার পালিকা শক্তি। তাঁকে বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ অনুযায়ী দেবী দুর্গারই আর এক রূপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আবির্ভাবের কারণ:
কিংবদন্তি অনুসারে, দেবতারা যখন গর্বিত হয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করছিলেন, তখন দেবী জগদ্ধাত্রী আবির্ভূত হয়ে তাঁদের সেই অহংকার খর্ব করেন। প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই পূজা শুরু করেছিলেন। তিনি নবাবের হাতে বন্দি থাকাকালীন দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এবং কার্তিক মাসের নবমী তিথিতে এই পুজোর আয়োজন করে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। পূজার সময়: দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর, প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার নেতাজি সুভাষ মিশন ট্রাস্ট উদ্যোগে ধুমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো হল। গুপ্ত লেন, পল্লীবাসীবৃন্দ, এই পুজো ২২ ত্তম বর্ষে পদার্পন করলো। সাথে ছিল ভোগ খাওয়া। উদ্যোগক্তা চন্দন দে মহাশয় বলেন আমরা এই পুজো কোনো চাঁদা তুলি না। সমস্ত কিছু মহিলাদের সহযোগিতায় এই পুজো হয়। তবে আমরা তাঁদের পাশে থেকে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিই। খুব আনন্দে সাথে আমরা এই পুজো টা করি।

Comments

Popular posts from this blog

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা

বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান

শুক্রবার ডমরু নিনাদে পরিচালনায় আয়োজিত হল স্বরণে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র নৃত্য উৎসব