শুক্রবার ডমরু নিনাদে পরিচালনায় আয়োজিত হল স্বরণে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র নৃত্য উৎসব
রবীন্দ্র নৃত্য নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বেশ কিছু কথা প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।। এটা ভীষন রকম সত্যি যে বঙ্গদেশে নৃত্যের জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ।
অনেক দিন আগে তৎকালীন সমাজে কলকাতায় বাবুসংস্কৃতি ছিলো। এবং এই সংস্কৃতিভাব আর দেশীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য এর মাঝে তৈরি হলো একটি বিভেদ, দ্বন্দ্ব। আর তাই নৈতিকতার অবনমন ঘটেছিল অনেক ক্ষেত্রেই ৷এরফল স্বরুপ মধ্যবিত্ত অভিজাত সমাজ থেকে নৃত্যকলার সমাদর বর্জিত হয়ে গেলো ৷ শুধু মাত্র নিষিদ্ধ পল্লীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে রইল।অবশ্য এ শুধু বাংলারই চিত্র ছিল না প্রায় গোটা ভারতবর্ষের চিত্র ছিল এটাই ৷
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাব ও প্রচেষ্টার আগে পর্যন্ত শিক্ষিত সমাজে নৃত্যকলার কোনও শ্রদ্ধার আসন ছিল না ৷ । তাই নৃত্যশিল্পের মান ক্রমশই তলানিতে গিয়ে ঠেকছিল ৷
এই রকম একটা সময়েও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই তলানিতে ঠেকা শিল্প কে শি়ক্ষার আলোকে নিয়ে আসার কথা ভেবেছিলেন। তৎকালীন সমাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর হাত ধরেই শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে নৃত্যকলার স্বীকৃতি লাভ হয়। শুক্রবার ডমরু নিনাদে পরিচালনায় আয়োজিত হল রবীন্দ্রনৃত্য উৎসব স্বরণে রবীন্দ্রনাথ। অনুষ্ঠানটি ছিল দেখার মত। প্রতি বছরের মত এ বছরেও খুব সুন্দর ভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। ডমরু নিনাদে প্রেসিডেন্ট সোমা দাসগুপ্ত বলেন আজকাল কোথাও যেন রবীন্দ্র নৃত্য ও শাস্ত্রীয় নৃত্য তলিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সেটা কে ধরে রাখা। এই যে ছোট ছোট ছেলে, মেয়েরা এখানে এসে আমাদের মঞ্চ কে যে আলোকময় করেছে এটা কিন্তু আমাদের অনেক বড় পাওয়া। তবে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রিপোর্টার গিল্ডরে প্রেসিডেন্ট ডক্টর অরুন কুমার। তবে সমগ্র অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় উত্তরপাড়ার গণ্য ভবনে।
Comments