বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান
বাংলা থেকে বিহারের বিচ্ছিন্নতা স্মরণে প্রতি বছর ২২শে মার্চ বিহার দিবস পালিত হয়। বিহার দিবস উদযাপনের ঐতিহ্য প্রথম ২০১০ সালে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমারের নির্দেশনায় শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি অনেক উৎসাহের সাথে পালিত হয়ে আসছে।
১৯১২ সালে ব্রিটিশরা যখন বিহারকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে আলাদা করে দেয়, তখন থেকেই এই দিনটি (২২ মার্চ) বিহারের পরিচয় লাভ করে। তারপর থেকে রাজ্যটি এই দিনটিকে 'স্থাপনা দিবস' বা প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে, পাটনার গান্ধী ময়দানে তিন দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, অভিনেতা এবং গায়করা এই জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন।
এই বছর বিহার দিবসের প্রতিপাদ্য হল "যুবশক্তি বিহার কি প্রগতি"। বিহারের যুবসমাজের মধ্যে রয়েছে অপরিসীম সম্ভাবনা এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দিবসটি উদযাপনের প্রধান উদ্দেশ্য হল তাদের রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে ভালোবাসা এবং গর্বের অনুভূতি জাগানো। বিহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখার ইতিহাস রয়েছে এবং চাণক্য, আর্যভট্ট, জয়প্রকাশ নারায়ণ, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, রাষ্ট্রকবি রামধারী সিং 'দিনকর' এবং আরও অনেকের মতো ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই, বিহার শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং সারা বিশ্ব থেকে পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ করে আসছে। বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। রাজ্যটি বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখদের জন্যও একটি তীর্থস্থান।
'বিহার দিবস' রাজ্যজুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অধীনে অফিস, ব্যাংক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বুধবার বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। মনোরঞ্জন যোদ্ধারে নির্দেশে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। ছোট ছোট বাচ্ছাদের নৃত্য অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান টি হয়ে উঠে ছিল অসাধারণ সুন্দর। অনুষ্ঠানে পাশাপাশি ছিল বিশিষ্ট মানুষজনেদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এবং বিহারে বিখ্যাত খাবার লিটি চোখা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কপিল পণ্ডিত, রাজেন্দ্র পারশাদ, পাওয়ান শর্মা, রিঙ্কু সিং, রাবি সিং, অরুন শাহ সহ্য আরও অনেকে। তবে এই অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিশেষ ভূমিকায় দেখা যায় সমাজসেবী জগৎ কিশোর ভগৎ কে।
Comments