শুক্রবার নবযুবক নাগরিক সংঘে গণেশ পুজো উপলক্ষে আয়োজিত হল ভোগ বিতরণ অনুষ্ঠান
গণেশ চতুর্থী হিন্দু ধর্মের একটি প্রধান উৎসব, যা হিন্দু দেবতা গণেশের জন্মোৎসব হিসেবে পালিত হয়। এটি বিনায়ক চতুর্থী অথবা বিনায়ক চবিথি নামেও পরিচিত। উৎসবের মূল বৈশিষ্ট্য হলো বাড়িতে ও জনসমক্ষে সাময়িক মণ্ডপে গণেশের প্রতিমা স্থাপন, বৈদিক স্তোত্রপাঠ, উপবাস, পূজা ও প্রসাদ বিতরণ। বিশেষত মোদক এই উৎসবের নৈবেদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়। দশ দিনব্যাপী এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে অনন্ত চতুর্দশীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে, যা নদী, সমুদ্র বা অন্য জলাশয়ে সম্পন্ন হয়। কেবল মুম্বাই শহরেই প্রতিবছর প্রায় দেড় লক্ষ প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। গণেশ চতুর্থী মূলত "শুভ সূচনার দেবতা", "বাধা অপসারণকারী" ও "জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবতা" হিসেবে গণেশের পূজা নিবেদনকে কেন্দ্র করে পালিত হয়।
ভারতের মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল ও গোয়া রাজ্যে এ উৎসব ব্যাপকভাবে পালিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, ফিজি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গায়ানা, সুরিনাম, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বব্যাপী হিন্দু প্রবাসী সমাজের মধ্যে উৎসবটির প্রচলন রয়েছে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে সাধারণত আগস্টের ২২ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যদিও গণেশ চতুর্থীর প্রাচীন উৎপত্তি স্পষ্ট নয়, তবে ঔপনিবেশিক আমলে মহারাষ্ট্রে লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক ১৮৯৩ সালে এ উৎসবকে জনসমক্ষে পালনের প্রচলন করেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলতে এবং সমাজে হিন্দু ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এটি সর্বজনীন উৎসব হিসেবে জনপ্রিয় করেন।
এরপর থেকে পাঠ, ভোজন, ক্রীড়া ও মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতার মতো নানা আয়োজন এ উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়। শুক্রবার গণেশ পুজো উপলক্ষে নবযুবক নাগরিক সংঘে উদ্যোগে ভোগ বিতরণ করা হল ইজারা স্ট্রিট, ইলেকট্রিক মার্কেটে সন্নিকটে। প্রতি বছরে মত এ বছরেও ধুমধাম করে পুজো হল নবযুবক নাগরিক সংঘে গণেশ পুজো। তবে এই দিন পুজো উপলক্ষে পথ চলতি বহু মানুষকে ভোগ বিতরণ করা হয়। পুজো উদ্যোগে রয়েছে উমাকান্ত আগরওয়াল,কুশল পান্ডে,পাবন পান্ডে,ওঁম প্রকাশ সাউ,মুনা সিং সহ আরও অনেকে।
Comments