ভারতীয় দলিত সংঘ ও তিলজালা ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনে উদ্যোগে বাচ্ছাদের আঁকা প্রতিযোগিতা
যখন শব্দের অস্তিত্ব ছিল না, তখন থেকেই যোগাযোগের জন্য অঙ্কন একটি প্রাচীন কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মানচিত্র, ছবি, গ্রাফ, যোগাযোগের হাতিয়ার হিসেবে, উপায় খুঁজে বের করার জন্য এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য ব্যবহৃত হত।
অঙ্কন কেবল প্রকাশের একটি মাধ্যম নয়, বরং লেখা, পড়া, চিন্তাভাবনা এবং সামগ্রিক সৃজনশীলতা বিকাশের একটি মাধ্যমও। এটি এমন একটি শিল্প যা জ্ঞানীয় দক্ষতা বিকাশের অন্যতম মৌলিক অংশ হতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কতজন এই শিল্পকে সত্যিই গুরুত্ব সহকারে নেয়? দুঃখের বিষয় হল, আজকের বিশ্বে অঙ্কন কেবল শিল্পকলা ক্লাস বা জীববিজ্ঞান ক্লাসে অ্যানাটমি অঙ্কনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিশ্ব উন্নত হয়েছে এবং প্রযুক্তিও উন্নত হয়েছে এবং অঙ্কনের শিল্পের স্থান মাউস এবং স্পর্শ প্রযুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।
অন্য যেকোনো শিল্প মাধ্যমের তুলনায় অঙ্কন একটি শিশুকে আরও ভালোভাবে উন্মুক্ত করে। আমরা যা বলি, করি বা কাজ করি, তা শিশুরা সবই গ্রহণ করে। কিন্তু, প্রতিটি শিশু শব্দ বা কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। অঙ্কন তাকে তার অনুভূতি প্রকাশ করার এবং স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। ব্যবহৃত রঙ বর্তমান মুহূর্তে মনের প্রশান্তি প্রদান করে। অঙ্কন আবেগগত বুদ্ধিমত্তা বিকাশেও সাহায্য করে। ছবি আঁকা এখন আর অতীতের কাজ হিসেবে বিবেচিত হয় না, বরং ধীরে ধীরে থেরাপি এবং গ্রুপ অ্যাক্টিভিটিতে এর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে যেখানে শিশু এবং বয়স্করা তাদের চাপা আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ করতে শেখে এবং নিজেদের প্রকাশ করতে শেখে।
সোমবার ছিল ডক্টর বি আর আম্বেদকরে জন্মদিন। সারা দেশ জুড়ে পালিত হয় তার শত জন্ম বার্ষিকী। ঠিক তেমনি ভারতীয় দলিত সংঘ ও তিলজালা ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বি আর আম্বেদকরে জন্ম দিবস উপলক্ষে ছোট ছোট বাচ্ছাদের আঁকা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ছিল ফ্ল্যাগ হোস্টিং ও মাল্যদান অনুষ্ঠান। এই দিন বহু বাচ্ছা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উদ্যোগে রয়েছেন সুরাজ যাদব, আরমান হক সহ আরও অনেকে। তবে তাঁদের এই অনুষ্ঠান কে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
Comments