শ্রী শ্রী শীতলা মাতার পুজো উপলক্ষে শিয়ালদা সোনকর সমাজের উদ্যোগে ভান্ডারা
চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে দেবী শীতলার পুজো করার প্রথা রয়েছে। এ বছর শীতলা অষ্টমী পালিত হবে আগামী ২ এপ্রিল মঙ্গলবার। কিন্তু অনেকে সপ্তমী তিথিতে আবার অনেকে অষ্টমীতে মাতৃদেবীর পুজো করেন। কিছু লোক হোলির পরের সোমবারকে শীতল দিন হিসাবে বিবেচনা করে এবং মাতৃদেবীর পুজো করে। এই উৎসবে বিশ্ব মাতা মা পার্বতীর রূপ শীতলা মার জন্য উপবাস ও পুজো করা হয়। মা পার্বতী প্রকৃতি এবং এই উৎসব পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অনুভূতির সঙ্গেও জড়িত। এই দিনে শীতলা দেবীর পুজো করলে অনেক সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রকৃতি অনুসারে শরীর সুস্থ থাকতে হবে, তাই শীতলা অষ্টমীতেও উপবাস করা উচিত। লোক ভাষায় এই উৎসবকে বাসোদাও বলা হয়।
শীতলা দেবীর পুজোর গুরুত্ব: মা শীতলা হলেন পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য এবং সুখ ও সমৃদ্ধির অধিপতি দেবী। যে বাড়িতে সপ্তমী-অষ্টমী তিথিতে শীতলা সপ্তমী-অষ্টমীর উপবাস ও পুজোর আচার পালন করা হয়, সেই বাড়িতে সুখ-শান্তি থাকে এবং রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে চোখের রোগ, জ্বর, গুটিবসন্ত, কুষ্ঠ, ফোঁড়া এবং অন্যান্য চর্মরোগে আক্রান্ত হলে মায়ের আরাধনা করলে সেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্কন্দপুরাণে মাতৃদেবীর পুজোর উৎস শীতলাষ্টক নামে বর্ণিত হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এই স্তোত্রটি স্বয়ং ভগবান শঙ্কর মানুষের কল্যাণের জন্য রচনা করেছিলেন। শনিবার শ্রী শ্রী শীতলা মাতার ষোলোআনা বাৎসরিক পূজা হয়ে গেল ৬/১ ডক্টর অমল রায় চৌধুরী লেনের সন্নিকটে। আর এই পুজো উপলক্ষে শিয়ালদা সোনকর সমাজের পরিচালনায় সেবা শিবির ও ভান্ডার আয়োজিত হল। উদ্যোগে শ্রীমতি মোনালিসা ব্যানার্জী ও সভাপতি শ্রী কানাই সোনকর। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অশোক দেব এছাড়াও বিশিষ্ট মানুষজনেরা। তবে অনুষ্ঠান অতি ব্যস্ততা মধ্যে দেখা যায় কার্তিক সোনকর কে।
Comments