শুক্রবার গড়িয়াহাট মোড়ে দক্ষিণ কলকাতা জেলা মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ
৭০ বছরের পুরনো ওয়াকফ আইন সংশোধনের পথে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি, বিপক্ষে ৯৫টি। এখন শুধুই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা, তারপরেই কার্যকর হবে নতুন আইন।
১৯৫৪ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে বোর্ডের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবারের পরিবর্তন আরও ব্যাপক। বিরোধীদের দাবি, নতুন সংশোধনে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা কার্যত খর্ব করা হয়েছে।
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার বিতর্ক শেষে সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিলটি পেশ করেন। ভোটাভুটির পর মধ্যরাতেই ফল ঘোষণা হয়। অন্য দিকে আরও একটি প্রতিবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্টে। বাতিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। এই রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। গত বছর এপ্রিল মাসে এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত নিয়োগ, অর্থাৎ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর।
সেই রায়ই বহাল রইল সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার বালিগঞ্জ গড়িয়াহাট মোড়ে দক্ষিণ কলকাতা জেলা মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ প্রতিবাদ জনসমাবেশ করেন। এই জনপ্রতিবাদে মূল বিষয় হল ওয়াকফ বোর্ডে বিল পাশের বিরোধিতা ও ২৬ হাজার ছেলে মেয়েদের চাকীহারা প্রতিবাদ জানিয়ে এই দিন তারা বিক্ষোভ করে কলকাতা খোলা মাঝ পথে। মহিলা সভানেত্রী মিতা চক্রবর্তী বলেন হাজার হাজার ছেলে মেয়ে চাকরি হারিয়েছে এর জন্য দায়ী রাজ্যে মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ওনাকে মুখমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ওয়াকফ বোর্ডে এই বিল পাশ আমরা মানতে পাচ্ছিনা। এতে মুসলিমদের তোষণ করছে মোদী সরকার। এর জন্য আমরা লড়ছি আগামী দিনও লড়বো।
Comments