রবিবার 77 গার্ডেন রিচ রোড হুগলি জুট মিল কলোনী থেকে হনুমান জয়ন্তী শোভাযাত্রা
মঙ্গলবার দিনটি বজরঙ্গবলীর ( Bajrangbali ) পুজোর জন্য প্রসিদ্ধ। সপ্তাহের দুটি দিন হনুমান ( Hanuman Ji ) মন্দিরে ভিড় করেন ভক্তরা। কেন শনিবার ও মঙ্গলবারই শ্রী হনুমান মন্দিরে উপাসকরা ভিড় করেন? শনি দেবতার রোষের প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ভক্তরা শনিবার ভগবান হনুমানের পুজো করেন। আর মঙ্গলবার হনুমান পুজোর সর্বোত্তম দিন। হনুমানকে ভগবান শিবের অবতার হিসেবে গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, চৈত্র মাসের এক মঙ্গলবারেই, পূর্ণিমার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই ভক্তরা মঙ্গলবার শ্রী হনুমানকে নৈবেদ্য দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার এবং শনিবার ভগবান হনুমানের উপাসনার তাৎপর্য খুঁজত গেলে অনেকগুলি কাহিনি জানা যায়। লৌকিক কাহিনি অনুসারে, লঙ্কার রাক্ষস রাজা রাবণ এতটাই শক্তিশালী হয়েছিলেন যে তিনি গ্রহগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।
রাবণ তার পুত্র মেগনাদের জন্মের সময় তাঁর জন্মকুণ্ডলীকে অত্যন্ত প্রভাবশালী করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে অমর হোক। মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিতের জন্মকুণ্ডলী যাতে ভাল হয়, তার জন্য গ্রহদেবতা শনিকে আটকে রেখেছিলেন শনিদেব। সেই সময় হনুমান লঙ্কায় রাম-পত্নী সীতাকে খুঁজছিলেন। তখন তিনি শনি দেবতার আর্তি শুনতে পান। হনুমান শনিদেবকে সাহায্য করেন। শনি দেবতা তখন প্রতিজ্ঞা করেন, যদি কেউ শনিবারে ভগবান হনুমানের পুজো করে, তাহলে তাহলে সে শনির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে।
শনিবার ছিল হনুমান জয়ন্তী তাই বিভিন্ন জায়গায় এই দিন টি কে কেন্দ্র করে চলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। রবিবার 77গার্ডেন রিচ রোড হুগলি জুট মিল কলোনী থেকে এই হনুমান জয়ন্তী কে কেন্দ্র করে একটি শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়। এই শোভাযাত্রা পায়ে পা মেলান ছোট বড় নারী পুরুষ প্রত্যেকে। খুব আনন্দের সাথে এই পদযাত্রা টি সম্পূর্ণ হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলার বিজয় ওঝা, পৌরপিতা আনোয়ার খান, মিনা পুরোহিত সহ বিশিষ্ট মানুষজনেরা। তবে এই শোভাযাত্রায় অতি ব্যস্ততার মধ্যে দেখা যায় অরবিন্দ কুমার সিং কে।
Comments