ডক্টর শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী হেলথ অর্গানাইজেশনে উদ্যোগে বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলে দোল উদযাপন

ফ্যামিলি রাইজিং লোগো নির্যাতনের শিকার শিশুদের সহায়তা: অবহেলা এবং নির্যাতনের প্রভাব মোকাবেলা কিশোর ছেলেটি গাছের ডালের দিকে তাকিয়ে আছ। জনমানবজাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখার ক্ষমতা। আমাদের যে কারো বেঁচে থাকার, শেখার, কাজ করার, ভালোবাসার এবং সন্তান জন্মদানের জন্য এই সম্পর্কগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মানসিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষমতা এবং আকাঙ্ক্ষা মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশগুলির সংগঠন এবং কার্যকারিতার সাথে সম্পর্কিত - শৈশব এবং জীবনের প্রথম বছরগুলিতে বিকশিত হয় এমন সিস্টেমগুলি। এই প্রাথমিক দুর্বল সময়ের অভিজ্ঞতাগুলি একটি শিশুর মূল সংযুক্তি ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। একটি শিশুর সহানুভূতি অনুভব করার, যত্নশীল হওয়ার, আগ্রাসন প্রতিরোধ করার, ভালোবাসার এবং একজন সুস্থ, সুখী এবং উৎপাদনশীল ব্যক্তির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য অর্জনের ক্ষমতা জীবনের শুরুতে শিশুর যত্নের সাথে জড়িত। প্রাথমিক অবহেলা এবং অপব্যবহার কীভাবে সংযুক্তিকে প্রভাবিত করে শৈশবের বন্ধনের প্রতিবন্ধকতা মানুষকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। শৈশবের প্রাথমিক পর্যায়ে তীব্র মানসিক অবহেলার ফলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। স্পর্শ, উদ্দীপনা এবং লালন-পালন ছাড়া শিশুরা আক্ষরিক অর্থেই অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ শিশু এই মাত্রার অবহেলার শিকার হয় না, তবে লক্ষ লক্ষ শিশু শৈশবকালে কিছুটা হলেও বন্ধন এবং সংযুক্তির প্রতিবন্ধকতা অনুভব করে। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি হালকা আন্তঃব্যক্তিক অস্বস্তি থেকে শুরু করে গভীর সামাজিক ও মানসিক সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণভাবে, জীবনের প্রথম দিকে মানসিক অবহেলা কতটা শুরু হয়েছিল, তার পাশাপাশি এর তীব্রতা এবং সময়কালের উপরও এর প্রভাব পড়ে। সাহায্যের মাধ্যমে, অবহেলিত শিশুরা স্বাভাবিক সম্পর্কগুলি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা শিখতে পারে। ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা এবং বেশ কয়েকটি গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, পরিবার এবং শিশুদের জন্য উন্নতির পথ একটি দীর্ঘ, কঠিন এবং হতাশাজনক প্রক্রিয়া। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে ডক্টর শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী হেলথ অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলে অসহায় ছেলে মেয়েদের খাবার বিতরণ করা হল। পাশাপাশি এই সংস্থার সমস্ত সদস্যবৃন্দরা মিলের শিশুদের সাথে হোলি খেলেন। এবং তারা বলেন ছেলেমেয়েগুলো জীবন থেকে সমস্ত রং হারিয়ে গেছে কিন্তু প্রতিবছর ওদের সাথে দোল উৎসব পালন করে আমরা ওদের বুঝিয়ে দিই যে ওদের জীবন যুদ্ধে কঠিন সংগ্রামে ওদের সকলের মনের রং ঠিকই আছে, হারিয়ে যায়নি। তবে এই সংস্থার কর্ণধার অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রায় সময় এই স্কুলে এসে এদের খুশি টাকে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও বস্ত্র তুলে দিই আবার কখনও বা কোনো উৎসবে খাবার দিয়ে যায়। এই ভাবেই আমরা কাজ করে চলেছি। আগামী দিনও এভাবেই কাজ করবো।

Comments

Popular posts from this blog

তাপসীল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র সাংবাদিক সম্মেলন

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা