জাতীয় বাংলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত পৌষ মেলা

মেলা হল যখন একটি সামাজিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য কারণে একটি স্থানে অনেক মানুষ একত্রিত হয়। মেলা শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি হয়।মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন। মেলায় একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয়। মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ নিবিড় । বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতির সমন্বয় । কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায় বা কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় মেলার। মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ জীবনে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। গ্রামের মেলায় যাত্রা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, জারি-সারি, রামায়ণ, গম্ভীরা কীর্তন, পালার আসর, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, লাঠি খেলা, হাডুডু খেলা মুগ্ধ করে আগত দর্শনার্থীদের। এখনও নাগরদোলা সব বয়সীদের কাছে প্রধান আকর্ষণ।
মেলায় আবার বিভিন্ন নাটক বা যাত্রাপালারও আয়োজন করা হয়। গ্রামীণ মৃৎশিল্প ও কারুপণ্যের বিকিকিনি মেলার আরেক আকর্ষণ। এসব মৃৎশিল্পের মধ্যে শখের হাঁড়ি, বিভিন্ন ধরনের মাটির পুতুল বেশ জনপ্রিয়। ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২৫ এ জাতীয় বাংলা পরিষদের উদ্যোগে এক বিরাট বাংলা পৌষ মেলা আয়োজিত হল। যাদবপুর বিবেকনগর কালীবাড়ি মাঠে এই মেলার আয়জন করা হয়। মেলাতে ছিল বিভিন্ন ধরনের স্টল। খাবার দাবার থেকে জামা কাপড়, জুয়েলারি আরও ছিল বেশ রকমারি স্টল যা ক্রেতাদের মন কেড়ে নেবে। চার দিন ব্যাপী মেলাতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান। তবে অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকায় রয়েছেন ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, গার্গী ব্যানার্জী সহ আরও অনেকে। তবে শুক্রবার মেলাতে দেখা যায় চাঁদের হাট উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, চিকিৎসক,রাজনীতিবৃত এবং এখানে দেখা যায় বিধায়িকা ফিরদুসি বেগম কে।

Comments

Popular posts from this blog

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা

বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান

শুক্রবার ডমরু নিনাদে পরিচালনায় আয়োজিত হল স্বরণে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র নৃত্য উৎসব