খাওয়াজা হিন্দ আল ওয়াল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও কাদিনই বাজম ই ইসলাহ উদ্যোগে রক্তদান শিবির
রক্ত মানুষের জীবনীশক্তির মূল, বেঁচে থাকার প্রধান হাতিয়ার। পৃথিবীতে রক্তই একমাত্র ‘জীবন্ত সত্তা’ যার মাঝে কোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদ নেই। ধনী-গরীব, সাদা-কালো সবারই রক্তের বৈশিষ্ট্য ও বর্ণ একই। মানুষ সামাজিক জীব। সে হিসেবে মানুষের একে অপরের প্রতি রয়েছে কিছু সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা। আর এর মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান অন্যতম। রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ। আপনার রক্তের মাধ্যমে আরেকজন মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে এর মতো মহৎ মানবিক কাজ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টা হতে পারে না। রক্ত মানবদেহের অপরিহার্য ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পূর্ণমাত্রায় রক্ত থাকলে মানবদেহ থাকে সজীব ও সক্রিয়। আর রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া দেখা দিলেই শরীর অকেজো ও দুর্বল হয়ে পড়ে, প্রাণশক্তিতে পড়ে ভাটা। এই অপরিহার্য উপাদানটি কল-কারখানায় তৈরি হয় না, তৈরি হয় না বড় বড় ল্যাব ও গবেষণাগারে। বিজ্ঞানীদের নিরসল চেষ্টা সত্ত্বেও এখনো রক্তের বিকল্প দ্বিতীয় কোনো উপাদান তৈরি করা সম্ভব হয়নি, নিকট ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে এমনটাও আশা করা যায় না। মানুষের রক্তের প্রয়োজনে মানুষকেই রক্ত দিতে হয়। জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তদান এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, বলা হয় ‘করিলে রক্তদান, বাঁচিবে একটি প্রাণ’, ‘আপনার রক্ত দিন, একটি জীবন বাঁচান’, ‘সময় তুমি হার মেনেছ রক্তদানের কাছে, দশটি মিনিট করলে খরচ একটি জীবন বাঁচে।’রবিবার খাওয়াজা হিন্দ আল ওয়াল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও কাদিনই বাজম ই ইসলাহ পরিচালনায় আয়োজিত হল রক্তদান শিবির। রক্তদান মহৎ দান তাই এই কাজ টা সবারই করা উচিত। অনুষ্ঠানে উদ্যোগক্তা গিয়াসুউদ্দিন খান ওরফে লাড্ডু দা। তাকে বিভিন্ন সময় সামাজিক কাজে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বর্ণকোমল সাহা, পৌরমাতা সবিতা রানী দাস, এবং তার সুপুত্র শংঙ্কর দাস, কামরান হোসেন সহ আরও অনেকে।
Comments