সমস্ত স্কুলে এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলকের দাবিতে কলকাতার রাজপথে বাংলা পক্ষর মহামিছিল
*সমস্ত স্কুলে এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলকের দাবিতে কলকাতার রাজপথে বাংলা পক্ষর মহামিছিল*
আজ ১৮ ই ফেব্রুয়ারি WBCS সহ সব রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক বাংলা শিক্ষার দাবিতে কলকাতায় মহামিছিল করল বাংলা পক্ষ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে এই মিছিল ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতার হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়ে বরীন্দ্রসদন চত্বরে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে হাজার হাজার বাঙালি অংশ নেয়। মূলত যুব সমাজের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছলের নেতৃত্ব দেন সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। মিছিল থেকে স্পষ্ট আওয়াজ ওঠে, বাংলার মাটিতে হিন্দি-উর্দু তোষণ চলবে না। WBCS এ হিন্দি-উর্দু ঢোকানো চলবে না। সমস্ত স্কুলে এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করতেই হবে৷ বাংলার সর্বস্তরের বিশিষ্টরা বাংলা পক্ষর পাশে আছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বাঙালির কথা ভাবুন।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান- "ভারতের অন্য রাজ্যে যা স্বাভাবিক বাংলায় তা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে, বাংলা পক্ষ এই অবস্থার বদল চায়। আজকের এই মিছিলে বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে বাঙালি দল, ধর্মের ঊর্ধে বাংলা পক্ষর দাবির পাশে আছে। বাঙালি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও এই দাবিতে বাংলা পক্ষর পাশে আছেন। সার্বিক ভাবে বাঙালি নিজের অধিকারের দাবিতে জেগে উঠছে।"
সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, সমর্থন জানিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, রূপম ইসলাম, নচিকেতা চক্রবর্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সুবোধ সরকার, চন্দন সেন, সুব্রত ভট্টাচার্য সহ সমাজের নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বাঙালিরা।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন- "শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে ভাষাদিবস পালন অর্থহীন, ভাষা কিভাবে বাঁচবে, বাঙালি কিভাবে বাঁচবে সেই বিষয়ে আন্দোলন দরকার। পথে নেমে বাঙালির দাবিতে সোচ্চার বাংলা পক্ষর আগে আর কেউ হয়নি এই বাংলার মাটিতে। আজকের এই মিছিলের গুরুত্ব এখানেই, হাজার বাঙালি আজ চাকরি থেকে স্কুল শিক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলকের দাবিতে পথে নেমেছে, সমর্থন জানিয়েছেন বাঙালি সমাজের বিভিন্ন জগতের কৃতী সন্তানরা, এ এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। বাঙালির এই ঐক্যবদ্ধ দাবি বাংলার সরকারকে ভাবতে বাধ্য করবে বলেই তিনি আশাপ্রকাশ করেন।"
গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি ছাড়াও সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল, রজত ভট্টাচার্য, সম্রাট কর, ডাঃ আব্দুল লতিফ, মহঃ সাহীন, সৌম্যকান্তি ঘোড়ই সহ জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
Comments