রাখী বন্ধন উপলক্ষে ডক্টর শ্যামা প্রসাদ মুখ্যার্জি হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ প্রয়াস
রাখির (Rakhi) সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব (Rakhi Bandhan Utsav 2023)। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে তাদের মিষ্টি খাওয়ায়। ভাই তার বোনকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর বাঙালির এই রাখি বন্ধনের প্রসঙ্গে উঠে আসবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। কারণ, বঙ্গভঙ্গ আইনে যখন ভাগ হচ্ছে দুই বাংলা, সেই অশান্ত মূহুর্তকে সম্প্রীতির বন্ধনে বেঁধেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছালে ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করবে। তৎকালীন সময় দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চরম আকার ধারন করে। ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন হিন্দু ও মুসলিম ভাই ও বোনকে একতা হওয়ার আহ্বান
করেছিলেন।ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় মানুষ সামিল হয়। ঠিক হয়, ওই দিন বাংলার মানুষ পরস্পরের হাতে বেঁধে দেবেন হলুদ সূতো বাঁধবেন। এই দিনকে মিলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কবিগুরু এই দিনটিকে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার ডাক দেন। বাংলায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বকে ফুটিয়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেন রবীন্দ্রনাথ।রাখির মূল উদ্দেশ্যই ছিল মানবিকতা, সম্প্রীতি ও একতা। তবে এবছর খুব ধুমধাম করে পালিত হল রাখী পূর্ণিমা উৎসব। সারাদিন ধরে চলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের উৎসব।ঠিক তেমনি ডক্টর শ্যাম প্রসাদ মুখ্যর্জি হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়ে ছিল। অরুনিমা হর্স পিসে ও বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলে সমস্ত ব্লাইন্ড শিশু এবং অসহায় বাচ্ছাদের খাবার বিতরণ করে এই সংস্থা শুধু তাই নয় তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য এই দিনে রাখী পড়ানোও হয়।ছোট ছোট বাচ্ছারা এতে খুবই খুশি হয়। তবে এই অভিনব প্রয়াসে বিশেষ উদ্যোগে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অমিতাভ চক্রবর্তী। এর আগেও তাকে সমাজের জন্য বিশেষ সামাজিক মূলক কাজ করতে দেখা গেছে। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রীতম সরকার, অরুন কুমার রাজ, বিনোদ চৌধুরী, পিনাকী রজন বসু, জগজিৎ সিং, রত্ন দত্ত, শুভাসি কর চৌধুরী, পলাশ নাগ, দেবাশীষ রায়, স্বপন মন্ডল, শীষেন্দু ব্যানার্জী, সহ আরও অনেকে।
Comments