বসন্ত বিলাসী নাটক আয়োজিত হল তপন থিয়েটার হলে
থিয়েটার বা নাটক এমন একটি মাধ্যম, যেখানে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা সবচেয়ে বেশি কিন্তু ব্যক্তিগত অবদান সবচেয়ে কম। সিনেমা বা সিরিয়াল দেখার প্রসার হয়েছে অনেকে কিন্তু নাটক রয়ে গিয়েছে অনেকটাই তাই পুরনো ফরম্যাটে। এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় fallacy! খাস বাংলার কথাই যদি দেখা যায়, কমবয়সী ছেলেমেয়েরা অনেকেই হইহই করে নাটকের ক্লাস করে, স্টেজে নিজের ছাপ রেখে যায়, কিন্তু কতজন শেষ পর্যন্ত নাটকেই থেকে যায়? আজকের জমানায় অনেকেই নাটককে অভিনয়ের শিক্ষা হিসেবে দেখে। অনেক নামজাদা চিত্রপরিচালক তাই সোজাসাপটা জিজ্ঞেস করেই নেন যে পূর্ববতী নাটকের অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না!
সামাজিক বা বৌদ্ধিক স্তরে নাটক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নাটকের গুরুত্ব অপরিসীম। গিরিশ ঘোষ থেকে আজকের হাটথ্রব অনির্বাণ ভট্টাচার্য— নাটকের মোহময়তা অবাক করে দেওয়ার মত। সিরিয়াল বা যৌনতাপূর্ণ একপেশে ওয়েব সিরিজের থেকে যে গড়পড়তা নাটকের গুণগত মান যে অনেক ভালো, তা বলতে সত্যি দ্বিধা নেই। তবে নাটক কিন্তু যাত্রার মতো হারিয়ে যায়নি। এটাও মনে রাখা দরকার সামাজিক ও অর্থনীতিক আঙ্গিকে। তবে বুদ্ধিজীবী প্রবণ বাঙালির নাটকের ‘অতি নাটকীয় চরিত্র’দের বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ একান্ত প্রয়োজন। ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে যেখানে নাটকের কুশীলবরা তাবেদারী করছেন, নিজেদের বিবেক ও চেতনাকে বন্ধক রেখেছেন।১৩ই জুন একটি টালিগঞ্জ সপ্তর্ষি প্রয়োজনায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্যরে গল্প অবলম্বে বসন্ত বিলাসী নাটক আয়োজিত হল তপন থিয়েটার হলে। নাটক সাত্যকি সরকার, প্রয়োগ: অভিজিৎ গুহ।তবে এই নাটকের সংগীতের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মন কেড়েছে মনস্বী চৌধুরী, আর তিতিক্ষা মন্ডল। মায়ের প্রেরনাই তার সব থেকে বড় প্রেরণা বলেন শিল্পী মনস্বী চৌধুরী।আগামী দিন তিনি আরও ভালো ভালো কাজ করতে চান এমনটাই জানালেন সংবাদ মাধ্যমকে।
Comments