(সি. পি. ডি. আর )ইন্ডিয়া হিউমান রাইটসে বই প্রকাশ হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে
বাঙালি উদার ও আবেগপ্রবণ জাতি। পরের উপকার করলে সে ধন্য হয়। এতদিন এটাই জেনে এসেছি। দেখেও এসেছি। কিন্তু এখন বাস্তবে দেখছি এর উলটো চিত্র। এখন সহনশীলতা ও ধৈর্য আমরা হারিয়ে ফেলেছি। শিক্ষার হার এত যে বাড়ছে, তাতে কী লাভ হচ্ছে? শিক্ষিত হয়ে আমরা আরও বর্বরতার দিকে ধাবিত হচ্ছি কি না তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। কোনো ধরনের শিক্ষাই আমাদের মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ববোধ তৈরিতে সহায়ক হচ্ছে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হলো মানবাধিকার। রাষ্ট্রের বৈধতা এই অধিকার রক্ষার উপর নির্ভর করে। মানবাধিকার বলতে সেই সমস্ত অধিকার গুলি বোঝায় যেগুলি জন্মগতভাবে মানুষ ভোগ করে এবং মানব সমাজের একজন সদস্য হিসেবে প্রতিটি ব্যক্তি ভোগ করে। মানবাধিকার হল মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। কারণ ব্যক্তির বিকাশের জন্য কতগুলি সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন। এই সুযোগ সুবিধাই ব্যক্তির পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়। তাই ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ বিকাশের জন্য নির্দিষ্ট কিছু অধিকার তথা মানবাধিকার মানুষের থাকা একান্ত প্রয়োজন। বিকাশ ঘটাতে গেল মানব সভ্যতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গড়ে উঠেছে। এই মানবাধিকার কমিশন ভারতবাসীর মানব অধিকার রক্ষার্থে দিবারাত্রি কাজ করে চলেছে।শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে (সি পি ডি আর )ইন্ডিয়া হিউমান রাইটসে উদ্যোগে একটি বই প্রকাশিত হয়। ভারতের সর্ব বৃহৎ মানবাধিকার এই সংগঠন মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে চলেছে। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতীন্দ্র ঘোষ,বিশ্বনাথ মজুমদার, শেলী মুখার্জী, রুমা আচার্য, প্রসেনজিৎ সাহা, মধুমিতা সাহা, চন্দ্রবান সিং, শুক্লা মন্ডল,মন্টু রায়, সৌরভ চ্যাটার্জী, সহ্য আরো অনেকে।
Comments