Posts

শুক্রবার অটল সুর রোড পল্লীবাসী বৃন্দ জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে ভোগ বিতরণ অনুষ্ঠান

Image
জগদ্ধাত্রী পূজার মাহাত্ম্য কি? রামকৃষ্ণ মিশনে কে প্রথম এই পূজা শুরু করেছিল? জেনে নিন এখান থেকে। সারা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপিত হয়। কলকাতা ও আশেপাশের শহরগুলো থেকে মানুষ এই পূজায় যোগ দিতে ভিড় জমায়। মূর্তি এবং বিলাসবহুল প্যান্ডেল এই কয়েক দিনে এই শহরকে একটি নতুন চেহারা দেয়। কার্তিক মাসে পালিত এই পূজায় দেবী জগদ্ধাত্রী চার হাতে বিভিন্ন অস্ত্র বহন করেন। সিংহের পিঠে চড়ে দেবীর মূর্তিগুলো জায়গায় জায়গায় প্যান্ডেল শোভা পায়। দুর্গাপূজার মতই দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা করা হয়। যা মা দুর্গার এক রূপ। এই উৎসবটিও দুর্গাপূজার মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে পড়ে। প্রধানত এই পূজা গোষ্টাষ্টমীতে পালিত হয়। চারদিন ধরে চলে মায়ের পূজা। এই পূজা সপ্তমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত চলে। মা জগদ্ধাত্রীর উজ্জ্বল রূপের পূজা করা হয়। কথিত আছে, রামকৃষ্ণ মিশনে এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী ম সারদা দেবী। এর পরই, এই উত্‍সবটি বিশ্বের প্রতিটি কোণে উপস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে পালিত হয...

নেতাজি সুভাষ মিশন ট্রাস্টে উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজো

Image
জগদ্ধাত্রী পূজা করা হয় দেবী দুর্গারই এক রূপকে সম্মান জানাতে, যিনি জগতের পালনকর্ত্রী এবং যিনি দেব-দেবীদের অহংকার খর্ব করেছিলেন। এই পূজার প্রচলন হয়েছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময়কালে, যিনি বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। তিনি কার্তিক মাসের নবমী তিথিতে এই পুজোর আয়োজন করেন এবং এরপর থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। জগদ্ধাত্রী দুর্গারই অন্য রূপ: জগদ্ধাত্রী হলেন দেবী দুর্গারই অন্য একটি রূপ এবং জগৎ সভ্যতার পালিকা শক্তি। তাঁকে বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ অনুযায়ী দেবী দুর্গারই আর এক রূপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আবির্ভাবের কারণ: কিংবদন্তি অনুসারে, দেবতারা যখন গর্বিত হয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করছিলেন, তখন দেবী জগদ্ধাত্রী আবির্ভূত হয়ে তাঁদের সেই অহংকার খর্ব করেন। প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই পূজা শুরু করেছিলেন। তিনি নবাবের হাতে বন্দি থাকাকালীন দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এবং কার্তিক মাসের নবমী তিথিতে এই পুজোর আয়োজন করে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। পূজার সময়: দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর, প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা নব...

গ্রেটার বড় বাজার ওয়েল ফেয়ার সোশ্যাইটি উদ্যোগে আয়োজিত হল ছট পুজো উপলক্ষে সেবা ক্যাম্প

Image
ছট পূজা হল একটি প্রাচীন হিন্দু উৎসব যা সূর্যদেব এবং তাঁর বোন বা শক্তির দেবী ষষ্ঠী (ছটী মাইয়া) -এর প্রতি উৎসর্গীকৃত। এই চার দিনব্যাপী উৎসবটিতে সূর্যকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় পূজা করা হয়। এটি সাধারণত দীপাবলির ছয় দিন পর, কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। ছট পূজার মূল বৈশিষ্ট্য: উপাসনা: এটি সূর্যদেব এবং ছটী মাইয়াকে উদ্দেশ্য করে করা হয়। উদ্দেশ্য: পৃথিবীতে জীবনধারার জন্য সূর্যকে কৃতজ্ঞতা জানানো এবং পরিবারে সমৃদ্ধি ও সন্তানের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা। পালনের সময়: এটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য নাম: এটিকে 'সূর্য ষষ্ঠী' নামেও অভিহিত করা হয়। বিশেষত্ব: এই উৎসবে একমাত্র অস্তগামী এবং উদীয়মান দুই সূর্যকেই পূজা করা হয়। আঞ্চলিকতা: মূলত পূর্ব ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে এই উৎসবের প্রচলন আছে, তবে ধীরে ধীরে এটি বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছট পূজা (বা ছঠ পূজা) হিন্দু বর্ষপঞ্জীর কার্তিক মাসের শ...

সর্বভৌম শাকদ্বীপিও ব্রাহ্মণ কল্যাণ সমিতি উদ্যোগে ছট পুজো উপলক্ষে সেবা ক্যাম্প

Image
ছট পুজো - প্রকৃতি ও দেবত্বের মহামিলন: ছট পুজো মূলত সূর্যদেব (সূর্য) এবং তাঁর বোন বা শক্তির দেবী ষষ্ঠী (ছঠি মাইয়া) -এর প্রতি উৎসর্গীকৃত চার দিন ব্যাপী এক মহাব্রত। পৃথিবীতে জীবনের ধারা বজায় রাখার জন্য সূর্যদেবকে ধন্যবাদ জানানো এবং পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই উৎসব পালিত হয়। প্রকৃতি ও দেবত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক অনন্য উৎসব এই ছট। সূর্য উপাসনার গুরুত্ব: এই উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হলেন সূর্য দেবতা। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, সূর্য হলেন এক মাত্র প্রত্যক্ষ দেবতা, যাঁকে প্রতি দিন দেখা যায়। সূর্যের কিরণ রোগ-জীবাণু নাশ করে এবং দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করে বলে বিশ্বাস করা হয়। বেদে সূর্যকে 'জগতের আত্মা' বলা হয়েছে। এই পুজোয় তাই সূর্যের আরাধনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কে এই ছঠি মাইয়া: সূর্যদেবের পাশাপাশি ছঠি মাইয়া বা ষষ্ঠী দেবীরও পুজো করা হয় ছটের সময়। বিভিন্ন মতে, ছঠি মাইয়া হলেন প্রকৃতি দেবীর ষষ্ঠ অংশ। তাঁকে 'দেবসেনা' বা 'মা ষষ্ঠী' রূপে পুজো করা হয়, যিনি সন্তান ও পরিবারের রক্ষাকর্ত্রী। অনেকে তাঁকে সূর্যদেবের বোন হিসাবেও ...

রবিবার আয়োজিত হল খান্ডল বিপ্রসভা কলকাতা উদ্যোগে দীপাবলি সম্মেলন

Image
দীপাবলি সম্মেলন উৎসব" একটি প্রচলিত শব্দ নয়; সম্ভবত আপনি "দীপাবলি উৎসব" এবং "সম্মেলন" বা "মেলা" শব্দ দুটিকে একসাথে বুঝিয়েছেন। দীপাবলি একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব যা অন্ধকারকে অতিক্রম করে আলো, ভালোকে ছাড়িয়ে মন্দ এবং অজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে জ্ঞানকে প্রতীকী করে। এটি সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে পালিত হয় এবং হিন্দু, শিখ, জৈন ধর্মাবলম্বীরা এটি উদযাপন করেন। দীপাবলি উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্মেলন, যেমন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রীতি সম্মেলন বা মেলা আয়োজিত হয়, যেখানে হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা এবং অন্যান্য আনন্দদায়ক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে। দীপাবলি উৎসবের তাৎপর্য আলোর উৎসব: দীপাবলি নামের অর্থ 'প্রদীপের সারি'। এই উৎসবে আলো বা প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে অন্ধকার দূর করা হয়। মন্দের উপর ভালোর জয়: এটি মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করে। দক্ষিণ ভারতে এটি নরকাসুরের উপর দেবতা কৃষ্ণের বিজয় হিসেবে পালিত হয়। ধর্মীয় তাৎপর্য: হিন্দু ধর্মে এটি লক্ষ্মী পূজা এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। জৈন ধর্মে এটি মহাবীর ক...

বিশ্বশান্তি মা কালীপুজো উপলক্ষে প্রতিবারে মত এবারেও ভোগ বিতরণ করলেন নাগেশ সিং

Image
কালীপূজাকে "আলোক রশ্মি" বলার কোনো প্রচলিত ব্যাখ্যা নেই, তবে দীপাবলির সঙ্গে জড়িত বলে এটিকে "আলোক" উৎসব বলা হয়। দীপাবলিকে "আলোর উৎসব" বলা হয় কারণ এই সময়ে অন্ধকার দূর করে আলোর রোশনাই করা হয়। বাঙালিরা এই সময়ে দীপাবলি উপলক্ষে কালীপূজা করে থাকে এবং এই উৎসবের প্রধান অংশ হল আলো বা আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জা: কালীপূজা মূলত আলোকসজ্জার মাধ্যমে উদযাপিত হয়, তাই এটিকে "আলোক" বলা হয়। দুষ্টের দমন: এই উৎসবের মূলনীতি হলো "দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন" বা "ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয়", যা আলোর মাধ্যমে অন্ধকারের ওপর জয়ের প্রতীক। দীপাবলির অংশ: দীপাবলি, যা আলোর উৎসব, এই সময়েই কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়, তাই একে আলোকসজ্জা বা আলোক উৎসবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। রাজনৈতিক রং ছাড়া মানুষরে জন্য কাজ করা কে সামাজিক কাজ কেই বলা হয় মানবিক কাজ। থাকে কাজের মধ্যে সততা থাকে আন্তরিকতা। মঙ্গলবার বিশ্বশান্তি মা কালী পুজো উপলক্ষে ভোগ বিতরণ করলেন সমাজসেবী নাগেশ সিং। মাসে দুই বার অম্বস্যা উপলক্ষে ভোগ বিতরণ করেন তিনি। শুধু ভোগ বিতরণ নয় সমাজে সামাজিক মূলক...

ধুমধাম করে কালী পুজো হল ভবানীপুর সাধারণ সংঘে পুজো

Image
কালী পূজা করা হয় কারণ দেবী কালী হলেন শক্তির প্রতীক এবং হিন্দু ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ দেবী। এই পূজা মূলত তান্ত্রিক সাধনা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে দেবী দুর্গার উগ্র রূপ হিসেবে কালী রাক্ষসদের বধ করতে আবির্ভূতা হন এবং অমাবস্যায় তার পূজা করা হয় কারণ এই সময়টি আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পূজার কারণ: শক্তির প্রতীক: দেবী কালী হলেন শক্তির দেবী, যিনি শক্তি ও শৌর্যের প্রতীক। তান্ত্রিক সাধনা: মূলত, কালী পূজা তান্ত্রিক সাধনার জন্য করা হয় এবং এটি তন্ত্রের দশমহাবিদ্যা দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী হিসেবে বিবেচিত হন। রাক্ষস বধ: প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, রাক্ষস রক্তবীজের সঙ্গে যুদ্ধে দেবী দুর্গার ক্রোধ থেকে কালীর জন্ম হয়। তিনি রাক্ষসদের ধ্বংস করতে আবির্ভূতা হন। অমাবস্যার তাৎপর্য: অমাবস্যাকে আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়, তাই এই তিথিতে কালী পূজা করা হয়। অন্যান্য বিশ্বাস: কেরালা ব্যতীত, তাকে সাধারণত দেবী পার্বতীর রূপ হিসেবে দেখা হয়। কেরালার লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, শিবের তৃতীয় চক্ষু থেকে রাক্ষসদের ধ্বংস করার জন্য তিনি আবির্ভূতা ...