মহান মনীষী এবং শহীদদের উদ্দেশ্যে তর্পন ও যজ্ঞ করলেন মহারাজ হিরণ্ময়ী গোস্বামী

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষ জুড়ে চলে পিতৃ পক্ষ। এই ১৫ দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। বিশ্বাস করা হয়, এই সময়ে মৃত পূর্বপুরুষেরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তাঁদের তুষ্ট করলে আত্মা শান্তি পায়, আর সন্তুষ্ট হয়ে পরিবারকে আশীর্বাদ করেন সমৃদ্ধির জন্য। সকাল হলেই রেডিওতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠস্বর ভেসে আসে, ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে…’ এই শব্দগুলি শুধু ভাষ্যপাঠ নয়, এ যেন এক নস্টালজিক সুর। এক মায়াবী ছন্দে সে সুর নিয়ে যায় ফেলে আসা দিনে, যেখানে অনেকের কাছেই তাঁদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি এখনও জীবন্ত। আজকের দিনে হয়তো তাঁরা আর বেঁচে নেই। মহালয়ার সকালে তাঁদের উদ্দেশে তর্পণ করা মানে শুধু জল অর্পণ করা নয়, এ যেন তাঁদের প্রতি হৃদয়ের গভীরে থাকা শ্রদ্ধা আর ভালবাসার এক নীরব প্রকাশ। পিতৃ পক্ষের শেষ দিনই মহালয়া।
দেবী পক্ষের সূচনা ঘটে এই দিনেই। বলা হয়, দেবীর চক্ষুদানও হয় মহালয়ার প্রভাতে। তাই মহালয়ার সকাল থেকেই শুরু হয় পিতৃ তর্পণ। রবিবার মহালয়ে পবিত্র দিনে হিন্দু সুরক্ষা সমিতি হিন্দু জাতীয়তাবাদী মহান বৈষ্ণব ঠাকুর হিরণ্ময়ী গোস্বামী মহারাজে নেতৃত্বে মহান মনীষী এবং শহীদদের উদ্দেশ্যে তর্পন ও যজ্ঞ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। আয়োজনে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ (পশ্চিমবঙ্গ)। সার্বিক সহযোগিতায় হিন্দু সুরক্ষা সমিতি। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় বি, এন, আরঘাট। এই দিন দেখা যায় সমস্ত বিপ্লবী থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী এবং আর জি করে নৃশংভাবে হত্যা হয়ে ছিল সেই মৌমিতা দেবানাথে উদ্দেশ্যে এই দিন জল তর্পন ও মহাযজ্ঞ করেন মহারাজ। এবং তার সহপাঠিরা। তিনি বলেন এই যজ্ঞ ও জল তর্পন বাংলার শান্তি জন্য আমরা করছি। রাজ্যে সাধারণ মানুষরে ওপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। তাই সেটা মাথায় রেখে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করছি যাতে সবার ভালো হয় এমনটাই বলেন মহারাজ হিরন্ময়ী গোস্বামী।

Comments

Popular posts from this blog

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা

বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান

শুক্রবার ডমরু নিনাদে পরিচালনায় আয়োজিত হল স্বরণে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র নৃত্য উৎসব