বাবা শিবের আরোধনায় মাতলেন সমাজসেবী লক্ষী সিং
তিনি দেবাদিদেব মহাদেব (Lord Shiva)। ত্রিলোকনাথ পরমেশ। তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ নয়। বেদব্যাসের ‘বৃহৎ শিবপুরাণ’-এ (অনুবাদ: কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন) রয়েছে- ‘শিব হতে শ্রেষ্ঠতর কিছুমাত্র নাই। শ্রীশিব সবার শ্রেষ্ঠ জানিবে সবাই।।’ এই শিবই শস্যশ্যামল বাংলার বুকে স্ফীত পেট, গোঁফদাড়িময় ভোলানাথ। বঙ্গ সংস্কৃতিতে তিনি মিশে গিয়েছেন সেই কবে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ পরে। সভ্যতার উন্মেষ থেকেই তিনি আরাধ্য। কিন্তু পুরাণমতে তাঁর আবির্ভাব কবে? বিশ্বপতি তিনি। সমগ্র বিশ্বের অধিপতির জন্ম হয়েছিল কীভাবে?
‘বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ‘কল্পে কল্পে ব্রহ্মা বিষ্ণু লভেন জনম। কল্পে কল্পে হয় সর্ব বিশ্বের সৃজন। এরূপে সবার সৃষ্টি করি মহেশ্বর। সংহার করেন পুনঃ দেবাদেব হর।’ অর্থাৎ ত্রিদেবের (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর) মধ্যে প্রাচীনতম শিবই। তিনিই বাকিদের সৃষ্টি করেছেন। শিবপুরাণ তেমনই বলছে। তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। যখন কিচ্ছু ছিল না, তিনি ছিলেন। আবার যখন সব ধ্বংস হয়ে যাবে, তখনও থেকে যাবেন তিনিই।
'		
কীভাবে হয়েছিল শিবের জন্ম? জানুন পুরাণে বর্ণিত দেবাদিদেবের লীলারহস্য
 তিনি দেবাদিদেব মহাদেব (Lord Shiva)। ত্রিলোকনাথ পরমেশ। তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ নয়। বেদব্যাসের ‘বৃহৎ শিবপুরাণ’-এ (অনুবাদ: কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন) রয়েছে- ‘শিব হতে শ্রেষ্ঠতর কিছুমাত্র নাই। শ্রীশিব সবার শ্রেষ্ঠ জানিবে সবাই।।’ এই শিবই শস্যশ্যামল বাংলার বুকে স্ফীত পেট, গোঁফদাড়িময় ভোলানাথ। বঙ্গ সংস্কৃতিতে তিনি মিশে গিয়েছেন সেই কবে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ পরে। সভ্যতার উন্মেষ থেকেই তিনি আরাধ্য। কিন্তু পুরাণমতে তাঁর আবির্ভাব কবে? বিশ্বপতি তিনি। সমগ্র বিশ্বের অধিপতির জন্ম হয়েছিল কীভাবে?
‘বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ‘কল্পে কল্পে ব্রহ্মা বিষ্ণু লভেন জনম। কল্পে কল্পে হয় সর্ব বিশ্বের সৃজন। এরূপে সবার সৃষ্টি করি মহেশ্বর। সংহার করেন পুনঃ দেবাদেব হর।’ অর্থাৎ ত্রিদেবের (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর) মধ্যে প্রাচীনতম শিবই। তিনিই বাকিদের সৃষ্টি করেছেন। শিবপুরাণ তেমনই বলছে। তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। যখন কিচ্ছু ছিল না, তিনি ছিলেন। আবার যখন সব ধ্বংস হয়ে যাবে, তখনও থেকে যাবেন তিনিই।
তবে আরও একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রহ্মা (Lord Brahma) ও বিষ্ণুর (Lord Vishnu) কলহের ফলে নাকি আবির্ভূত হয়েছিলেন। কী সেই কাহিনি? একবার ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে তর্ক বাঁধল তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে। বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন আচমকাই সেখানে আবির্ভূত হল এক প্রকাণ্ড জ্বলন্ত স্তম্ভ। সেই স্তম্ভের শুরু কোথায়, কোথায়ই বা শেষ তার যেন তল পাওয়া যায় না। এরপরই শোনা গেল দৈববাণী। কোন সুদূর থেকে ভেসে আসা সেই স্বর দুই দেবতাকে জানিয়ে দিল, ওই স্তম্ভের আদি ও অন্ত যিনি খুঁজে বের করতে পারবেন তিনিই শ্রেষ্ঠ। সঙ্গে সঙ্গে একটি হাঁস হয়ে আকাশমুখে ভেসে চললেন ব্রহ্মা। অন্যদিকে বিষ্ণু শূকরের বেশে জমি খুঁড়ে স্তম্ভের শেষাংশ অনুসন্ধানের চেষ্টা করলেন। সময় গেল কিন্তু তাঁরা সেই স্তম্ভের শুরু বা শেষ কিছুই খুঁজে পেলেন না। একটা সময় হাল ছেড়ে দিলেন দু’জনই। তখনই তাঁদের সামনে আবির্ভূত হলেন শিব। যেন তিনি অপেক্ষমাণ তাঁদের জন্য। শিবকে দেখার পরই ব্রহ্মা ও বিষ্ণু বুঝতে পারলেন তাঁর স্বরূপ। শিবের চিরন্তন তথা আদিঅন্তহীন রূপকে প্রত্যক্ষ করে তাঁরা বুঝতে পারলেন শিবের আসল পরিচয়।



Comments