রবিবার মেঘা ব্লাড ডোনেশন হল ৬৪নং ব্লক টি. এম. সি হিন্দি সেলের পক্ষ থেকে

“দেহের একটু রক্ত দিলে যদি বাঁচে একটি প্রাণ, ধন্য হবে জনম তােমার, মহৎ তােমার দান।” কামিনী রায় বলেছেন—“সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।” পারস্পরিক দেওয়া-নেওয়া, সহযােগিতা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সমাজ গড়ে ওঠে। সমাজে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। সকলের উচিত সকলের প্রয়ােজনে পাশে দাঁড়ানাে। কেন-না, পরার্থে যারা জীবন উৎসর্গ করে, তারা মহৎ। রক্তদানও এক মহৎ কর্ম। তাই রক্তদান হল প্রাণদান। রক্তদান বনাম প্রাণদান : মানবদেহে সঞ্জীবনী শক্তি দান করে রক্ত এবং জীবনধারাকে অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। যে ব্যক্তি মুমূর্ষু রােগীকে রক্তদান করে প্রাণদান করতে সাহায্য করে, তাকে তার জীবনদাতা বললেও অত্যুক্তি হয় না। রক্তের প্রয়ােজনীয়তা : রক্ত হল মানুষের শরীরের অত্যাবশ্যক সামগ্রী, প্রাণশক্তির দ্যোতক। মানুষের ধমনিতে রক্তপ্রবাহ অবাধ থাকলে, দেহ সুস্থ থাকে। রােগভােগের কারণে বা দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তের ঘাটতি পড়ে—তা পূরণ করার জন্য রক্তের প্রয়ােজন জরুরি।
মানবদেহে অন্য কোনাে রােগীর রক্তসঞ্চালন করা যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মানবদেহের রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করেছেন—A, B, AB, O। রক্তের প্রয়ােজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যার রক্তের প্রয়ােজন সে গ্রহণ করতে পারে, তেমন গ্রুপের রক্ত তার শরীরে সঞ্চারিত করতে হবে। অন্য গ্রুপের রক্ত বা অবিশুদ্ধ রক্ত দেহে সঞ্চারিত হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। রােগী মারাও যেতে পারে। রক্ত দেয় পুনজীবন এবং দীর্ঘ জীবনও : খাদ্য থেকে রস, রস থেকে রক্ত আমাদের দেহে সঞ্চারিত হয়। মানুষের দেহে প্রয়ােজনের তুলনায় কিছু বেশি রক্ত সংরক্ষিত থাকে। এই অতিরিক্ত রক্তদানের মধ্য দিয়ে যেমন একটি মানুষ পুনর্জীবন লাভ করে, তেমনি যে রক্তদান করে তার শরীরও সুস্থ থাকে। রক্ত গ্রহণ ও সংরক্ষণ : রক্ত গ্রহণের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। যে-কোনাে সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে ২৫০ সিসি রক্ত টেনে নেওয়া যায়। সাতদিনের মধ্যেই ওই ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। পুণ্য কাজ : যে-কোনাে দানইমহৎ কর্ম। বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, অন্নহীনকে অন্নদান, গৃহহীনকে গৃহদান, তৃষিতকে জলদান, পুণ্যার্জনের ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করে। কিন্তু মৃতজনে দেহ প্রাণ’–এর চাইতে বড়াে কর্ম এবং ধর্ম বােধহয় আর কিছু নেই। তাই রক্তদানের অপর নাম জীবনদান।
রবিবার মেঘা ব্লাড ডোনেশন হল ৬৪নং ব্লক টি.এম.সি হিন্দি সেলের পক্ষ থেকে।পাকসার্কাস ৭১ ডি তিলজেলা রোডের সন্নিকটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যার প্রধান উদ্যোগক্তা প্রেসিডেন্ট সুরেশ যাদব প্রীতম দাস, আরমান হক। এই দিন বহু মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এখানে মানুষকে ব্লাড দিতে দেখা যায়। সফল হয় তাঁদের শিবির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, এছাড়া ছিল বিভিন্ন ওয়ার্ড এর কাউন্সিলারা। এর পাশাপাশিও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করতে দেখা যায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তাবরেজ আলম, ও জনাব ক্যাপ্টেন এসি ছোটু।

Comments

Popular posts from this blog

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা

বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান

মাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষে সনৎ রায়চৌধুরী ইনস্টিটিউট স্কুল ও বৈশালী মোড়ে জল ও পেন বিতরণ