শেষপর্যন্ত সোনাক্ষীই হচ্ছেন সালমানের স্ত্রী!
বিনোদন ডেস্ক- নানা জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষপর্যন্ত সোনাক্ষী সিনহাকে দেখা যাবে সালমানের স্ত্রীর চরিত্রে। কি অবাক লাগছে শুনতে? কারণ বড় পর্দায় আবার আসছে ‘দাবাং’। এবারও সেই সালমান খান এবং সোনাক্ষী সিনহা-র জুটিকেই দর্শকরা দেখতে পাবেন ‘দাবাং থ্রি’-র ফ্রেমে।
‘দাবাং’ সিক্যুয়ালের দুটি ছবিতেই রয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা। তবে এই সিক্যুয়ালের পরবর্তী ছবিতে সোনাক্ষী থাকবে কি-না তা নিয়ে অনেকটা ঘোলাটে ছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত নতুন ছবিতেও দেখা যাবে তাকে। এ বছরের এপ্রিল থেকেই দাবাং থ্রি’র শুটিং শুরু হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ‘কলঙ্ক’-এর শুটিং করে মুম্বাইতে ফিরেছেন সোনাক্ষী। এরপর অক্ষয় কুমারের ‘মিশন মঙ্গল’-ও রয়েছে তার ঝুলিতে। সেইসঙ্গে এবার ‘দাবাং থ্রি’র জন্য প্রস্তুতি শুরু করলেন সোনাক্ষী সিনহা। যদিও দাবাং থ্রি নিয়ে সালমান খান নিজে কিছু না বললেও আরবাজ খান এরইমধ্যে দাবাং থ্রির শুটিং শুরু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে দাবাং থ্রির আগে আপাতত ‘ভারত’ নিয়ে ব্যস্ত সালমান খান। পরিচালক আলী আব্বাস জাফরের এই সিনেমায় সালমান খানের সঙ্গে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ।
দিশা পাটানি ও সুনীল গ্রোভারও রয়েছেন সালমান খানের ‘ভারত’-এ। অর্থাত্ ভারত-এর সিডিউল শেষ করে এবার দাবাং থ্রি’র জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সালমান খান নিজেও। তবে দাবাং থ্রি-তে এবারো মালাইকা আরোরার ম্যাজিক দর্শকরা দেখতে পাবেন কি-না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
২০১০ সালে মুক্তি পায় দাবাং সিনেমাটি। আরবাজ খানের প্রযোজনায় এটি পরিচালনা করেন অভিনব কাশ্যপ। ২০১২ সালে এসে মুক্তি পায় এর দ্বিতীয় কিস্তি দাবাং-টু। প্রযোজনার পাশাপাশি সিনেমাটি পরিচালনাও করেন আরবাজ খান। সিনেমা দুটিতে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন সোনাক্ষী সিনহা।
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক- ছিনতাইয়ের প্রায় ৫০ দিন পর নিজের ব্যবহৃত আইফোন ফিরে পেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্য একটি মামলার তদন্তে নেমে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে মন্ত্রীর ফোনটির সন্ধান পায় পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চক্রের ৫ সদস্যকে।
পুলিশ বলছে, ছিনতাই হওয়ার পর চারবার হাত বদল হয় ফোনটির। শেষ ধাপে মোবাইলটি যার হাতে যায় তিনি যখন বুঝতে পারেন এটি মন্ত্রীর ফোন তখন সেটি বিক্রি না করে রেখে দেন।আজ (সোমবার) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয়- ওই দিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা দুজন তার ভ্যানিটি ব্যাগটি টান দিয়ে নিয়ে যান।
মামলা দায়ের হওয়ার পর ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সগির ও সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সগির ও সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় জাকিরকে। জাকিরের দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় আরিফ নামে একজনকে। ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন, তার মোবাইলটি উদ্ধার করা হয় এই আরিফের কাছে থেকেই
।আরিফ প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী। সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোনো মোবাইল আনলক করে ব্যবহার উপযোগী করতে পারেন তিনি।
সাজ্জাদুর রহমান জানান, আরিফের কাছে থাকা ল্যাপটপে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া আইফোনের ছবি পায় পুলিশ। এরপর আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ফোনটি রয়েছে জীবন নামে একজনের কাছে। এরপর জীবন কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় মন্ত্রীর ফোনটা।জীবন ও আরিফ জানতেন এটা মন্ত্রীর ফোন। এ জন্যই জীবন ফোনটি আর বিক্রি না করে নিজের কাছে রেখে দেন।
ডিসি সাজ্জাদ বলেন, মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি আইফোন। আইফোনের লক খোলা খুবই কঠিন। কিন্তু আরিফ এ ফোনটিও আনলক করেছিলেন। আনলক অবস্থাতেই আমরা মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এদিকে নিজের ব্যবহৃত আইফোন ফিরে পাওয়ার সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তারা চমৎকার কাজ করেছে।
সোমবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একটু দেরি হলেও ফোনটি ফিরে পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস ছিল আমি ফোনটি ফিরে পাব। এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তারা অনেক চমৎকার কাজ করেছেন। তাদের জন্য ফোনটি ফিরে পেয়েছি।’গত ১ জুন রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়। ছিনতাইয়ের ৪৯ দিন পর সোমবার সকালে রমনা পুলিশ জানায়, পরিকল্পনামন্ত্রীর আইফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও দেখিয়েছে
মাত্র ১৩ দিন হয়েছে মুক্তি পেয়েছে শাহিদ কাপুর অভিনীত ছবি ‘কবির সিং’। আর এর মধ্যেই বক্স অফিসে সব থেকে সফল সিনেমার মুকুট পেল সিনেমাটি। দুই সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলল শাহিদ কাপুর-কিয়ারা আদভানি অভিনীত এই প্রেমকাহিনী।
কবীর সিং-এর শেষ কয়েক দিনের বক্স অফিস রিপোর্ট দেখেই এটির ২০০ কোটি ক্লাবে প্রবেশের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে ভাল সাড়া পেয়েছিল ছবিটি। দ্বিতীয় সপ্তাহ জুড়েও রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে কবির সিং। অবশ্য সিনেমাটি বড় পর্দায় আসার আগেই ফিল্মের একাধিক গান ও ট্রেলার ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখনই সিনেমাটি বক্স অফিসে সফল হওয়ার একটি আঁচ পাওয়া গিয়েছিল।
বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করলেও সিনেমাটির প্লট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিনেমাটিতে নারীদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ প্রোমোট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন একাধিক ফিল্ম সমালোচক। প্রেমিকাকে চড় মারা, মারপিট করা, মাদকের ব্যবহার, মদ্যপান, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মতো দৃশ্যগুলি অল্পবয়সীদের মধ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
Comments