এইডস দিবস উপলক্ষে মানা দেবী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উদ্যোগে আয়োজিত হল সামাজিক অনুষ্ঠান

চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এইডস নির্মূলের জাতীয় লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে এটি ২০১৭–২০২১ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের প্রধান উদ্যোগগুলি: এইচআইভি/এইডস (প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল) আইন, ২০১৭, যা বৈষম্য নিষিদ্ধ করে, গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সম্মতি বাধ্যতামূলক করে; মিশন সম্পর্ক– চিকিৎসা থামিয়ে দেওয়া রোগীদের পুনরায় সেবার আওতায় আনা; ‘টেস্ট অ্যান্ড ট্রিট’ নীতি– শনাক্ত হওয়া প্রতিটি রোগীর জন্য তৎক্ষণাৎ এআরটি শুরু; রুটিন ইউনিভার্সাল ভাইরাল লোড পরীক্ষা। এনএএসপি–V (২০২১–২০২৬) ১৫,৪৭১.৯৪ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প শুরু। লক্ষ্য: অতীতের অর্জন ধরে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে এইচআইভি/এইডসকে জনস্বাস্থ্যের বিপদ হিসেবে শেষ করার অন্তর্জাতিক লক্ষ্যে অবদান রাখা। এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারের পদক্ষেপ।দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচার গতিশীল করা। নাকো সমন্বিত মাল্টিমিডিয়া প্রচারের মাধ্যমে জাতীয় স্তরে সচেতনতা চালায়- যুবসমাজ-সহ বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে গণমাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
বহির্প্রচারের বিস্তার হোডিং, বাস প্যানেল, তথ্যকেন্দ্র, লোকসংস্কৃতি-নির্ভর অনুষ্ঠান ও আইইসি ভ্যানের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো হয়। সমাজভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি স্বনির্ভর গোষ্ঠী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা-কর্মী, পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি আচরণগত পরিবর্তন আনে এবং সামগ্রিক সচেতনতা বাড়ায়। উচ্চ-ঝুঁকির গোষ্ঠীর জন্য লক্ষ্য-ভিত্তিক উদ্যোগ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত দেশে ১৫৮৭-টি লক্ষ্য-ভিত্তিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যাতে প্রতিরোধ, পরীক্ষা, চিকিৎসা ও সেবার সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়। বৈষম্য বিরোধী বিষয়-ভিত্তিক প্রচার।সারা দেশে বৈষম্য কমাতে বিষয়-ভিত্তিক প্রচার চালানো হয় এবং কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সমস্ত স্তরে এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের অন্তর্ভুক্তি বাড়ে। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমবাডসম্যান নিয়োগ ২০১৭ সালের আইন অনুযায়ী ৩৪-টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমবাডসম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য সংক্রান্ত অভিযোগ শোনা এদের কাজ। এটি মানুষের মর্যাদা ও অধিকারের সুরক্ষায় সরকারের সহায়তা করে।এইচআইভি/এইডস মোকাবিলায় ভারতের পথচলা দৃঢ়তা, উদ্ভাবন এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার এক অনবদ্য কাহিনি। প্রাথমিক পর্যায়ের ভিত্তি স্থাপন থেকে শুরু করে এনএএসপি-V-এর ভবিষ্যৎমুখী লক্ষ্য, ভারত ধারাবাহিকভাবে দেখিয়েছে নেতৃত্ব, অধিকার-ভিত্তিক নীতি, সামাজিক প্রতিরোধ, এবং উন্নত যোগাযোগ উদ্যোগের গুরুত্ব।
বর্ধিত পরীক্ষা, চিকিৎসার সহজলভ্যতার বিস্তার, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীসমূহের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক সেবা, বৈষম্য প্রতিরোধ উদ্যোগ এবং রাজ্য ও সমাজের যৌথ অংশগ্রহণের ফলে ভারতে এইডস হ্রাসের হার অন্তর্জাতিক গড়ের চেয়ে অনেক বেশি।সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মানা দেবী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উদ্যোগে রেড লাইট এরিয়া একটি সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। এই দিবস কে উপলক্ষে করে এই দিন সমস্ত পিছিয়ে পড়া পতিতা মহিলাদের ফুড প্যাকেট ও হনুমান চল্লিষা দেওয়া হয়। এইডস দিবসে পাশাপাশি এই দিন টি ছিল গীতা জয়ন্তী। তাই সেটা মাথায় রেখে সবাইকে হনুমান চল্লিষা বিতরণ করা হয়। এবং সমস্ত দুঃস্থ পতিতা মহিলাদের এইডসে বিষয় উপলক্ষে একটি সচেতন বার্তা দেওয়া হয়। সংস্থার সদস্য রাজলক্ষী বিশ্বাস ও অচিন্ত বিশ্বাস তারা বলেন আমরা এই ধরনের কাজ সংস্থা সমস্ত নারী পুরুষ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করি। তাই এই ধরনের কাজ করতে আমাদের সুবিধা হয়। সমাজের স্বার্থে সামাজিক মূলক বিভিন্ন ধরনের কাজ করে চলেছে এই এই সংস্থা। মানা দেবী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। আগামী দিন ভালো ভালো কাজ করতে চায় এমনটাই জানালেন সংস্থার সমস্ত সদস্যরা।

Comments

Popular posts from this blog

শুক্রবার আয়োজিত হল রেলওয়ে অসংগঠিত শ্রমিক ন্যায় ও অধিকার সম্মেলন সভা

বিহার দিবস উপলক্ষে ৩৫নং ওয়ার্ডে রানিয়া ৩০ফুট অটো স্ট্যান্ডে সন্নিকটে আয়োজিত হল একটি সাংকৃতি অনুষ্ঠান

মাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষে সনৎ রায়চৌধুরী ইনস্টিটিউট স্কুল ও বৈশালী মোড়ে জল ও পেন বিতরণ