ওঙ্কার নাথ সংস্কৃতি সংঘ এ উদ্যোগে আয়োজিত হল শ্রীশ্রী জগন্নাথ দর্শন লীলা
১০ই বৈশাখ- এই পবিত্র দিনে প্রভু জগন্নাথদেবের কাছে নামপ্রচারের প্রত্যাদেশ গ্রহণ করেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর সীতারামদাস ওঙ্কারনাথদেব। এই বছর মহানগরীর বুকে শ্রীশ্রীঠাকুরের ‘শ্রীশ্রীজগন্নাথ দর্শন লীলা’ স্মরণ-পূজনে ‘ওঙ্কারনাথ সংস্কৃতি সঙ্ঘ’ ব্রতী হয়েছে। আজ রবিবার 24শে এপ্রিল বাগবাজার ফণীভূষণ যাত্রা মঞ্চে এই মহতী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সাধু, মহাত্মা, ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন ও সকলকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ‘১০ই বৈশাখের তাৎপর্য ’ প্রসঙ্গে পরমপূজ্য কিঙ্কর সামানন্দ জী [ড. লোকনাথ চক্রবর্তী] যে বিদগ্ধ ভাষণ দিয়েছেন তাতে সমবেত সকলে মুগ্ধ ও সমৃদ্ধ হয়েছে।
ওঙ্কারনাথ সংস্কৃতি সঙ্ঘর উদ্যোগে শ্রীশ্রীঠাকুরের দিব্য নাটকগুলি অভিনীত হয়েছে নীলাচল বৃন্দাবন সহ বহু স্থানে... আজ চুয়াল্লিশ তম নাট্যনিবেদন পরিবেশিত হল। এ ছাড়াও নামপ্রচার, শিবজ্ঞানে জীবসেবা, শ্রীশ্রীঠাকুরের গ্রন্থপ্রচার ইত্যাদি সেবাকর্মে তৎপর রয়েছে ‘ওঙ্কারনাথ সংস্কৃতি সঙ্ঘ’।
শ্রীশ্রীওঙ্কারনাথদেব বিরচিত শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নদীয়ালীলা বিষয়ক নাটক ‘নদীয়া নাগর’ দেখে আজ অগণিত দর্শকবৃন্দ অভিভূত হয়েছেন অনেকেই আনন্দাশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। মুখ্য চরিত্র শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবের ভূমিকায় শ্রী শুভদীপ ভট্টাচার্য এর অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য!
পরিচালক শ্রী সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় নিজেই শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাঁর কথায় –
"সীতারামের ভক্তবৃন্দর এই সম্মিলিত প্রয়াস সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সকলের এক আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পদক্ষেপ কারণ সকলেই বিনা পারিশ্রমিকে নিজেদের মূল্যবান সময় দিয়ে জনগণের আনন্দের জন্য এবং সমাজে শুভ চেতনা জাগরণের জন্য এই নাট্যসেবায় ব্রতী রয়েছে"। শ্রী প্রণব ব্যানার্জি এই সংঘের সভাপতি, তিনি বলেছেন- " শ্রীশ্রীওঙ্কারনাথদেবের আদর্শ এবং পুরাতনী নাটকের ধারা অনুসারে আমাদের নাটকে পুরুষরাই নারী চরিত্রে অভিনয় করে থাকে: এটা ওঙ্কার নাথ সংস্কৃতি সংঘের বৈশিষ্ট্য।"
জনসংযোগের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা সোমনাথ সান্যাল। আরো বহু শিল্পী গুণীজন এবং ভক্তবৃন্দের সমবেত প্রচেষ্টায় একটি সর্বাঙ্গীন সুন্দর অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। ওঙ্কারনাথদেব আচন্ডালে হরিনাম দান করে সমাজে যে আনন্দের প্লাবন এনেছিলেন, সেই আনন্দ সুধা আস্বাদন করে আজ সকল দর্শকবৃন্দ ধন্য হয়েছে।
Comments